Wednesday, August 21, 2019

কাশ্মীর ইস্যুতে এবার মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প

কাশ্মীর ইস্যুতে প্রয়োজনে মধ্যস্থতা করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে এমন ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। শিগগিরই তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আবারও কাশ্মীর ইস্যুতে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘ভৌগোলিকভাবে কাশ্মীরের অবস্থান খুব জটিল। সেখানে হিন্দু, মুসলিম সবাই বসবাস করে। আমি বলব না যে তারা এখন একসঙ্গে খুব ভালো আছে।’ বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।

এর আগে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছিল আমেরিকা। একই বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে টেলিফোনও করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। টেলিফোনে জম্মু ও কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে ‘নমনীয় ভাষা’ ব্যবহার করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বলা হয়। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইমরান খানকে ফোন করেন ট্রাম্প। সোমবার ট্রাম্পের এ ফোনালাপের কথা জানিয়েছে এনডিটিভি।
Delight

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও ফোনালাপ হয় ট্রাম্পের। প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী সে কথোপকথনে পাকিস্তানি নেতাদের ‘চরম বাগ্‌বিতণ্ডা এবং ভারতবিরোধী সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার’ বিষয়টি উত্থাপন করেন মোদি।

হোয়াইট হাউস বলছে, ফোনালাপের সময় ট্রাম্প জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে ইমরানকে নমনীয় ভাষা ব্যবহার করতে বলেছেন। ট্রাম্প উভয় পক্ষকেই সংযত হতে আহ্বান জানিয়েছেন।

ট্রাম্প ও ইমরান খান উভয়েই যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) এক বিবৃতিতে বলেছে, ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপচারিতায় মোদি সন্ত্রাস ও সহিংসতামুক্ত পরিবেশ তৈরি এবং আন্তসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ রোধের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে ভারতবিরোধী সহিংস বক্তব্য এবং উসকানি আঞ্চলিক শান্তির জন্য কল্যাণকর নয়।

৫ আগস্ট ভারতের বর্তমান বিজেপিশাসিত কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে দ্বিখণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সৃষ্টির সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করে পাকিস্তান। নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করার সিদ্ধান্ত জানায় তারা। ভারত অবশ্য জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পদক্ষেপকে একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বিবেচনা করছে। তাদের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে ‘বাস্তবতা মেনে নেওয়ার’ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের প্রধান উপপ্রেস সচিব হোগান গিডলি বলেছেন, ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং মার্কিন-ভারত কৌশলগত অংশীদারত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন। গিডলি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে থাকবে।

laptop change network sharing

laptop change network sharing

গল্প - শ্বশুরের বাসা নিয়ে লেখা অসাধারন একটা গল্প 2019

গল্প - শ্বশুরের বাসা।
লেখা - তামিম আহমেদ হিমু ( মুরুব্বি )
.
" তামিম ভাইয়া শুনো না। একটা কথা ছিল। " এই কথা বলে অতিথি দৌড় দিয়ে আসতে লাগল। আমি দাঁড়িয়ে তাকলাম।
হাঁপাতে হাঁপাতে বলল " বাবা রে বাবা খরগোশের মতো দৌড়াচ্ছ। আমার ডাক কি তোমার কানে যায় না? নাকি না শুনার ভাণ করে হাঁটতে লাগলে? আমাদের একটা কাজ করে দিবে? "
আমি একটু নরম গলায় বললাম " চাচা কোথায়? "
মেয়েটা হাত টা নাচিয়ে নাচিয়ে বলল " বাবা তো ডুবাই চলে গেছেন। "
" ও তো নিজে বাজার করতে পারো না? "
মেয়েটা মুখ কালো করে বলল " তামিম ভাইয়া কি যে বলো না? মেয়ে হয়ে আমি বাজার করতে যাব কেন? মেয়েরা ঘরের মধ্যে তাকা কিন্তু খুব ভালো। "
আমিও বললাম " ঠিক কথা। এবার কি দিতে চাও দেও। "
মেয়েটা বাজারের লিস্ট দিল। লাস্ট কথা ছিল " ভাইয়া আমার মোবাইলে ২০ টাকা দিও। " তারপর চলে যেতে চাইল। আমি পনপন করে বললাম " নাম্বার কে দিবে শুনি? "
মেয়েটা অবাক চোখে তাকিয়ে বলে " তোমাকে কত দিন নাম্বার দিয়েছি তা কি মনে আছে? আমার নাম্বার টা তোমার কাছে রাখলে এমন কি ক্ষতি হয় শুনি?Delight
আমি বললাম " নাই বলে নাই। নাম্বার কি দিবে? না আমি চলে যাব। "
রাগের মাথায় বলল " নেন নাম্বার। " তারপর মুখ ভেংচি দিয়ে চলে গেল।
.
আসরের আযান পড়তেই নামাজ পড়তে গেলাম। নামাজ পড়লে মনের ভিতর অনেক শান্তি আসে। নামাজ পড়ে বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। বাজারে যাওয়ার পর একটা হাতি দেখতে পেলাম। আমি একটুও অবাক হয় নি। কিন্তু বাজারের মানুষজন সবাই " আ " করে তাকিয়ে তাকল। রাতের বেলা অতিথি বলে ডাক দিতেই চাচি দরজা খুললেন। তামিম সব বাজার করে এনেছ ? "
" জ্বী চাচি সব বাজার করে আনছি। " এই কথা বলে আমি আমার রুমে চলে আসলাম। অতিথির পরিবার আমার আপন কেউ না। তারা যে ফ্ল্যাটে থাকে আমিও সেখানে তাকি। ৩ বছর ধরে সেখানে তাকি। অতিথি আমাকে বড় ভাইয়ের চোখে দেখে না। আমাকে কত বার ভালবাসার কথা বলছে সেটা ৩ বছরে খাতা কলমে হিসাব করে বলতে হবে।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়। ফজরের নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ি। উঠতে নয়টা ভেজে গেল। দরজায় শুধু কলিংবেল। আমি বিরক্ত হয়ে বললাম " দরজা টা ভাঙ্গিস না। আমি আসতাছি। "
চোখে অনেক ঘুম তবুও দরজার ধারে গিয়ে আবার দরজায় মাথা লাগিয়ে ঘুমাতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু একসাথে বিশ টা বেল দিল। এরপর আর সহ্য করে তাকতে পারি নি। দরজা খুলতেই বলল " মানুষ যে এতো অলস হয় তোমাকে না দেখলে জানতে পারতাম না। "
" কিসের জন্য এসেছ? "
" তোমার জন্য মা তরকারী পাঠিয়েছেন। " একটা বাটি আমার হাতে দিয়ে চলে গেল।
.
" কি তামিম ভাই আজকাল তো আপনাকে পাওয়া ঐ যায় না কোথায় তাকেন? অফিসের কাজ বুঝি খুব বেশি? এতো টুকু কথা বলে পাশের রুমের ভাবি দরজা লাগিয়ে আমার কাছে আসলেন। আমি হেসে হেসে বললাম " কাজ তো। কাজের জন্য মন টা ভালো থাকে না। চুপচাপ তাকতে ভালো লাগে। আপনি কোথাও বের হবেন বুঝি? "
ভাবি হাতে ব্যাগ দেখিয়ে বললেন " বাজার করতে যাব। " এই কথা বলে দাঁড়িয়ে তাকলেন।
মহাবিপদে পড়লাম। আমি যদি বিদায় না নিয়ে চলে যাই তাইলে আমার সাথে বসে সারা সকাল গল্প করতে ভাবি রাজি তাই বললাম " ভাবি অফিসের টাইম হয়ে গেছে আমি বরং যাই। "
পাশের রুম থেকে অতিথি রাগের মাথায় বেল দিতে দিতে দরজা টা প্রায় ভেঙ্গে দিতে লাগল।
আজ যদি বাবা এখানে তাকতেন তাইলে ভাবির মাথায় একটা থাপ্পড় দিয়ে বলতেন " বেয়াদব মেয়ে। মেয়ে হয়ে বাজার করতে যাবি কেন? বাজারে যাওয়া ঠিক না? লোকজন অনেক অনেক খারাপ কথা বলবে। তাইলে পুরুষ মানুষ কিসের জন্য? " এসব কথা বলে ভাবি কে বকাবকি করতেন। বাবা মেয়েদের কে বাজারে যাওয়া একদম পছন্দ করেন না। আমাদের বাজার টা খুব বড়ও না ছোটও না এক রকম মোটামুটি বড় আছে। আমাদের বাজারে পাশে একটা বড় পর্যটক এলাকা আছে। বাজার থেকে দূরে মাত্র ৩ কি.মি.। বড়লোক পরিবার এখানে ভ্রমণ করতে এসে এখানে রাতে থাকে। সেটা বড় কথা না। ভ্রমণ করতে এসে এখানে তাকবেই। সব থেকে খারাপ কথা হলো চায়না মেয়েরা ছোট ছোট গেঞ্জি আর ছোট ছোট প্যান্ট পড়ে বাজারে ঘুরাঘুরি করত। এরপর বাবা বাজারে মিটিং করে চায়না মেয়েদের বাজারে আসা যাওয়া নিষেধ করে দেন। বাবা ছিলেন খুব রাগি।
.
লিফটে উঠতে যাব। অতিথি ডাক দিয়ে বলল " সিরি দিয়ে উঠো। তোমার সাথে কথা আছে। " আমার হাতে ল্যাপটপ।
আমি মিনমিন করে বললাম " কি এক মেয়েরে। বাবা যদি পাইতেন তাইলে সারাদিন কান ধরিয়ে রাখতেন। যেখানে পায় সেখানে ডাক দিয়ে বলে " দাঁড়ান। "
আমি বললাম " কিসের জন্য দাঁড়াব? "
কাছে এসে বলল " আমি বললে দাঁড়ানোর সময় নাই কিন্তু পাশের রুমের ভাবি বললে সারাদিন দাঁড়িয়ে কথা বলতে ভালো লাগে। এতো কিসের কথা তোমাদের মধ্যে শুনি যে এক দুই ঘন্টায়ও তোমাদের কথা শেষ হয় না। রোমান্টিক কথা চলে বুঝি। "
এমনিতেই রাগে হাত পা চটরপটর করের তারপর মেয়েটার এতো আজেবাজে কথা রাগের মাত্রা আর বেশি করে দিল। কিন্তু কি করব বাবা বলছেন ধৈর্য্য তাকতে হবে। রাগের মাথায় ৩ -৪ টা খারাপ কথা বললে পরে নিজের কাছেই খারাপ লাগবে। তাই চুপ করে তাকলাম। চুপ করে আছি বলে অতিথি মিনমিন করে বলল " এখন ভাজা মাছ টাও উল্টিয়ে খেতে পারে না। "
এই মেয়ের সাথে কথায় পারব না। যদি এক কথা বলি তাইলে দশ কথা বলবে। ক বললে কলকাতা বুঝে। ল্যাপটপের ব্যাগ টা অতিথির হাতে দিয়ে বললাম " চুপ করে হাঁটতে তাকো। "
আমার দিকে চোখ টা ত্যাড়া করে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে আমাকে খেয়ে ফেলবে।
.
রুম টা ভালো করে পরিষ্কার করলাম। বাবা আসবেন। বাবা অগোছালো রুম একদম সহ্য করতে পারেন না।
বিকালে বাবাকে আনতে সায়দাবাদ তে গেলাম। বাবা আমাকে দেখেই আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। ফ্ল্যাটের কাছে আসতেই অতিথি দৌড় দিয়ে বাবা কে সালাম করল। বাবা অতিথি কে খুব পছন্দ করেন। বাবা অতিথি কে বললেন " মা তুমি তো অনেক বড় হয়ে গেছো? "
অতিথি আমার দিকে চেয়ে বলে " কিন্তু মানুষের চোখে তো আমি বড় না। "
আমাকে খুঁচা দিতে লাগল। আমি বুঝতে পারছি।
সকালবেলা ভাবি ডাক দিয়ে বললেন " তামিম ভাই তোমাকে তো এখন খুঁজে ঐ পাওয়া যায় না। কোথায় থাকো? "
পিছনে বাবা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব কথা শুনলেন। ভাবি কে একদম সহ্য করতে পারেন না। বাবা আমাকে ডাক দিয়ে ভিতরে আনলেন। ও মা। অতিথিও আমার রুমের ভিতর।
" তোর এই মহিলার সাথে কিসের এতো কথা রে? সারাদিন তুই নাকি এই মহিলার সাথে কথা বলিস? "
অতিথিও কুটনি বুড়ির মতো অবাক হয়ে শুনতাছে। বাবার সামনে মেয়েটাকে কিছু বলতে পারি না। চুপচাপ হয়ে বললাম " বাবা উনি তো আমার ভাবি হয়। ভাবির সাথে কিসের এতো কথা তাকতে পারে? "
বাবাও বললেন " ঠিক। আমিও তাই বললাম। কিন্তু অতিথি বলল " তুই নাকি ফিসফিস করে কি বলিস? "
মেয়েটা আমার বারো টা বাজিয়ে দিবে। রাগের মাথায় বললাম " আমার রুম থেকে বের হয়ে যাও। কোনো দিন আমার রুমের ভিতরে আসবে না। দিন দিন মাথার উপর উঠে যাচ্ছ। "
একটা গামছা নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
.
" বুম বুম তামিম ভাইয়া। " এই কথা টা বাচ্চা ছেলে বলল। খুব রাগ উঠছিল। আমি কত বড় একটা ছেলে। আমাকে কোথায় সালাম করবে তা না করে আমাকে এসব আজেবাজে কথা বলছে। বাচ্চা ছেলে টা কে একটা ডাক দিলাম। কাছে আসতে চায় নি। আমি নিজে তার কাছে গিয়ে কানের মধ্যে ধরে একটা থাপ্পড় দিলাম। কত বড় বেয়াদব একটা ছেলে। ছেলে টা ভ্যাএএএএ করে কান্না করে দেয়। অতিথি দরজা টা ফাঁক করে দেখল কে কান্না করতাছে। আমাকে দেখেই সাপের মতো ফুসফুস করে কাছে এসে বলে " এতো বড় একটা ছেলে হয়ে বাচ্চা ছেলে কে মারতে লজ্জা হলো না? লজ্জা হবে কি করে। যে মানুষ টা ভালোবাসা বুঝে না তার আবার লজ্জা হবে। "
অতিথি বাচ্চা ছেলেটাকে নিয়ে চলে গেল। এখন বুঝতে পারছি এই ছেলেটা মনে হয় অতিথিদের বাসায় বেড়াতে এসেছে।
সকালবেলা কলিংবেল। দরজা খুলে দেখি মা আসছেন। আমি কিছু সময়ের জন্য বোকা হয়ে গেলাম। মা কে বললাম " মা তুমি এতো সকাল কিভাবে আসলে আমাকে একটা কল দিলে না কেন? তাইলে আমি তো তোমাকে নিয়ে আসতাম। "
মামা হেসে হেসে বললেন " বউমা আমাকে স্টেশন থেকে বাসায় নিয়ে আসল। চিন্তা করিস কেন? "
চোখ মোটা করে বললাম " বউমা আসল কোথায় থেকে মা? "
মা - বাবার সাথে আমি পারব না। মা-বাবার যুক্তি অনেক মারাত্মক। তারা যা করে তা যুক্তির মাধ্যমে করে। মা - বাবার মধ্যে কোনো সময় ঝগড়া দেখি নি। মা হাজার ভুল করলেও বাবা কিছু বলেন না। বাবা বরং বলেন " ভুল হলেই মানুষ শিখতে পারবে। ভুল না হলে শিখবে কোথায় থেকে? "
মা কে খুব ভালোবাসেন। মায়ের চোখে পানি দেখলে বাবা ভাবেন মা কান্না টা বাবার জন্য এসেছে।
মা ভিতরে এসে বললেন " তোর বাবা কোথায়? "
আমি ব্যাগ টা আনতে আনতে বললাম " বাবা ঘুমাচ্ছেন। "
.
দুপুরে কাজী এসে আমার রুমে বসে তাকল। আমি ঘুমাচ্ছিলাম। মা এসে বললেন " চল। অতিথিদের বাসায় এখন তোর বিয়ে। অতিথি তৈরি হয়ে বসে আসে। মেয়েটা কত সুন্দর করে সাজগোজ করে কন্যা সেজে বসে আছে। "
আমি পাঞ্জাবি পড়ছি আর ভাবছি। হঠাৎ বিয়ে ভাবতেই বুকের ভিতর কেঁপে উঠে।
এখন বুঝতে পারলাম। অতিথিদের বাসায় কেন এতো মেহমান আসলেন। শেষ পর্যন্ত মেয়েটা আমাকে বিয়ে করেই ছাড়ল। সত্য প্রেম কোনো দিন হারিয়ে যায় না।
.
বিয়ের আজ ৪ মাস হয়ে গেল। কিন্তু আমার রুমে ৪ দিনও থাকে নি। রাগ করলেই বাপের বাসায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে ১০ - ১৩ দিন আরাম করে থাকে তারপর আবার রাগ ভাঙ্গিয়ে নিয়ে আসি। কি ঝামেলা। মেয়েদের একটাই সমস্যা বাপের বাসা কাছে তাকলেই আসতেও সময় লাগে না যেতেও সময় লাগে না।
আজও ঝগড়া। আমি বললাম " মশারি টা দেও তো। "
অতিথি ঘুমাতে ঘুমাতে বলল " তুমি তো দাঁড়িয়ে আছো। তুমি ঐ তো দিতে পারো। "
রাগের মাথায় বললাম " তুমি তোমার বাপের বাসায় চলে যাও। যাও বলছি যাও। "
মেয়েটা রাগ করে এক দৌড়ে চলে গেল।
৫ দিন হয়ে গেল। আমি গিয়ে আনি নি।
মা বাবা আসলেন বিচার করতে। মা - বাবা অনেক বুঝাইলেন। মেয়েদের যদি একটু জেদ না থাকে তাইলে এইটা কিসের মেয়ে। মেয়েদের নাকি একটু জেদ তাকতে হয়। স্বামীর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য। স্বামীর ভালোবাসা পরীক্ষা করার জন্য। মা - বাবা আমাকে অনেক দোষ দিতে লাগলেন। আমি নাকি অতিথি কে ভালোবাসি না। আমি ভাবতে লাগলাম সত্যি ঐ আমি অতিথি কে কোনো দিন ভালোবাসার চোখে দেখে নি। ইশ! বড় অন্যায় করছি মেয়েটার উপর। মেয়েটা কিছু চায় না শুধু স্বামীর একটু ভালোবাসা চায়। কোনো দিন বলে নি আমার এই লাগবে সেই লাগবে। আমি সরি বললাম। মা - বাবা হাসি মুখে অতিথি কে আমাদের বাসায় নিয়ে আসলেন।
.
সমাপ্ত
facebook
youtube 

Tuesday, August 20, 2019

আমি উন্মাদ উন্মাতাল 2019

আমি উন্মাদ উন্মাতাল
ফুলকে ভালোবেসেই
তোমাকে ভালোবেসেছিলাম।
সুগন্ধি ভেবে কাটার শত আঘাত সয়েছিলাম।
ফুলে যেমন মধু আছে
তোমাতেও প্রেম আছে।
অনুভবে মগজে মননে তোমাকে
হৃদয় বৃত্তে এঁকেছিলাম।
প্রেমাশে অনুভূতির উঁচু শৃঙ্গে তোমায় জড়িয়েছিলাম।
ভোরের শিশির ভেবে তার সতেজতা অঙ্গে মেখেছিলাম।
আর তুমি ছিলে ছলনার পরিসীমায় নিভৃতে গোপনে নিশির অভিসারে,
স্নিগ্ধ কোমল শরীর সরোবরে তোমার সতর্ক অবস্থান।
পদ্মপানকৌড়ির রূপক অভিসারে তোমার সহাবস্থান।
আক্ষেপের চূড়ান্ত করিডোরে আমার পায়চারি।
বাচাল ছিলেনা, ছিলে হ্রাষভারী
আত্মজ অহঙ্কারী।
বুঝতে পারিনি আপন অহঙ্কার ধুয়ে
বাঁচতে চেয়েছিলাম পরিযায়ী পাখির ঠোঁটে
আমার স্বপ্নের বিলাসী ভবি বসন্ত
কৃষ্ণচূড়া নিয়ে।
কিন্তু ধ্রুবক গোধূলির ধূসরে কখন কোন ফাঁকে তুমি হারিয়ে গেলে।
বাঁচার তাগিদে আজ আমি মরা কঙ্কাল।
চারপাশে ধূধূ মরুভূমি আমি উন্মাদ, উন্মাতাল।

Monday, August 19, 2019

How To avro bangla bijoy typing tutorial 2019 অভ্র দিয়ে কি ভাবে বিজয় লিখ...



avro দিয়ে কি ভাবে বিজয় লিখবেন কেউ ধরতে পারবে না দেখে নিন Delight

Subscribe My channel

আপনারা কোন ধরনের ভিডিও চান কমেন্ট করুন।
আপনার যে কোন অসুবিধা আমাদের গ্রুপে পোষ্ট করুন
Facebook Page:
https://www.facebook.com/helpbangladesh1
Facebook Group:
https://www.facebook.com/groups/helpbangladesh..

Sunday, August 18, 2019

অদ্ভূত প্রতিশোধ আম্মু আমি আইসক্রিম খাবো,কিনে দাও আমাকে

-আম্মু আমি আইসক্রিম খাবো,কিনে দাও আমাকে ,,,
পিচ্চি বাচ্চার এই কথায় আমার মাথায় ঠাডা পরলো।এমনিতেই কয়েকদিন আগে ব্রেকআপ হইলো বয়ফ্রেন্ড এর সাথে এই কষ্টে আজকে মন হালকা করতে পার্কে আসছে তবুও একা এখন এই পিচ্চি মেয়েটা জামা ধরে টেনে বলতেছে ,"আম্মু আইসক্রিম খাবো"।বয়স ৩ বছর এর উপরে হবে না।তবে এই যুগ এর বাচ্চারা ৩ বছর বয়স হলেই ৮০ বছর এর দাদীর মতো কথা বলে ।সে যা ই হোক ভাবলাম তার মা এর সাথে খেলছে হয়তো ভুল এ আমার কাছে এসে পরেছে ।তাই বললাম ,
-তোমার নাম কি মামুনি ? (আমি)
-আমার নাম তো জানো ই আম্মু তুমি ।তাহলে জিঙ্গাসা করতেছো কেনো?(পিচ্চি)
-না মামুনি তোমার ভুল হচ্ছে্ কোথাও,,আমি তোমার আম্মু না।ওই দিকে দেখ তোমার আম্মু হয়তো আছে,,(আমি)
-না তুমি ই আমার আম্মু । (পিচ্চি)
কি মুশকিল ।জীবনে যা একবার প্রেম করেছিলাম ব্রেকআপ হলো কয়েকদিন আগে সেই কষ্ট এখনও কেটে উঠতে পারছি না এর আগেই একটা ঝামেলা হলো এই পার্কে এসে ।ভাবলাম পার্কে খুজলে কেউ না কেউ তো বলবো যে এটা আমার মেয়ে পুরো বিকেল হয়ে গেলো কেউ বললো না এমন কথা।হাটতে হাটতে আমার পা একদম শেষ ।আর কোলে করে যেখানেই গেছি সেখানেই বলে ,"আম্মু এটা কিনে দাও,ওটা কিনে দাও" ।আশে পাশের মানুষ গুলো মনে হয় এলিয়েন দেখছে ।দেখার ই কথা মাএ প্রেম এর ফুল ফুটছে এখন ই যদি কেউ ভাবে এই সুন্দর মেয়ে বিয়ে করে বাচ্চা হয়ে গেছে তাদের মনে এমন প্রশ্ন আসার ই কথা ।ঘুরতে ঘুরতে সন্ধা হয়ে গেছে বাচ্চার আম্মুকে খুজে পাইনি ।এই বাচ্চা নিয়ে কি করবো এখন ? একবার ভাবলাম এখানেই রেখে চলে যাই ।যেই ভাবা সেই কাজ।কিনতু ভাবলাম যে পুলিশ কে জানাই ।পরে ভাবলাম কল্লা কাটা বলে আমাকে যদি ধরে নিয়ে যায় ,,।ভাবতে ভাবতে সন্ধা হয়ে গেলো ।মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দর ।ভাবছি হয়তো পিচ্চি মেয়েটার বাবা মা তাকে মনে হয় খুজতেছে ।আর এই দিকে ব্রেকআপ করার শোকে বাসা থেকে ২০০০ টাকা নিয়ে আসছিলাম যে ১০\১২ প্যাকেট বিরিয়ানি খাবো কিনতু হলো না ।এই বাচ্চার আম্মু ডাক বন্ধ করার জন্য তার সব আব্দার পূরন করলাম এখন মাএ ২০০ টাকা আছে । পিচ্চি মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দর আর বড়লোক এর মেয়ে ই মনে হচ্ছে ।কত সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছে ।মনে হচ্ছে নিয়ে যাই বাসায় ।আমার সাথে চুপ করে বসে আছে এমনিতে দেখলে ভাববে বোন কিনতু এখন তো আর তা হবে না ।ভাবলাম ওকে রেখে ই চলে যাবো ।সন্ধায় পার্কে একটু কম মানুষ থাকে তাই ভাবলাম একটু ভিতরে রেখে এক দৌড়ে চলে যাবো ।কিনতু যেই না কোলে নিছি সাথা সাথে ই প্রস্রাব করে আমার জামা পুরো ভিজিয়ে দিছে ।কি আর বলবো দুঃখের কথা ।রাগে জিঙ্গাস করলাম প্রস্রাব করবে বলতে পারো নি ?
-মনে ছিলো না আম্মু (পিচ্চি)
Image result for আম্মু আমি আইসক্রিম খাবো
আবার আম্মু ডাকে ।মন চাইতেছে মরে যাই কিনতু তা কি হয় ।কোলে করে নিয়ে গেলাম পার্কের ভিতরে একটা চিপস কিনে দিলাম এখন দৌড় এর পালা ।তার আগে তাসফিয়া পিচ্চিকে বললাম,,,
-বাবু,,,তুমি একটু দাড়াও তোমার জন্য একটা পানির বোতল নিয়ে আসি ?(আমি)
-আচ্ছা,,,,(তাসফিয়া পিচ্চি)
ঠিক যখন ই যাবো তখন ই পছন থেকে বলে উঠলো তাসফিয়া ,যা শুনে এই সন্ধার গরমের মাঝেও আমার মাথায় ঠাডা পরলো ।তাসফিয়া বললো,,,
-প্রীতি আম্মু আমাকে রেখে চলে যেয়ো না আমার রাতে অনেক ভয় করে।(তাসফিয়া পিচ্চি)
আমার বিষ্ময় এতো উপরে উঠলো যে মনে হচ্ছে চাদ পর্যন্ত উঠে গেছি ।কোনো চিন্তা ভাবনা না করে সোজা জিঙ্গাস করলাম আমার নাম জানলো কি করে ,,
-আম্মুর নাম তো সবাই ই জানে।(তাসফিয়া)
এবার আমার মনে হাজার প্রশ্ন ।কি বলছে এই মেয়েটা ।অনেক কিছু ই ভাবছি কিনতু কোনো সমাধান ই খুজে পাচ্ছি না ।আমার নাম জানে আবার আমাকে আম্মু ও ডাকে কি আজব ।
-আম্মু বাসায় যাবো না ?(পিচ্চি তাসফিয়া)
কি যে করবো এই মেয়ে নিয়া ।তবে এই রহস্য বেড় করতে হবে আমাকেই ।কিনতু আমার মা তো রিনা খান ।যে পরিমান রাগী ।যাই হোক আল্লাহ আল্লাহ বলতে বাসার দিকে যাই।পার্ক থেকে বের হয় মাএ রিকশা নিবো ঠিক তখন ই এক বান্ধুবি ডাক দিয়ে বললো কেমন আছি ।বললাম আছি কোনো রকম ।যেই বাচ্চাকে কোলে নিলো আম্মু আম্মু বলে কি যে কান্না শুরু করলো হায় খোদা।কোলে নিয়ে ঠান্ডা করে বান্ধুবিকে বিদায় দিয়ে বাসায় আসছি আর ভাবছি কি হবে এই বাচ্চাকে দেখলে আম্মু।ভাবছি আর তাসফিয়ার দিকে তাকাচ্ছি ।আসলেই কি নিষ্পাপ চেহারা একদম পরীর মতো ।কার কোল খালি করে আমার কাছে আসছে ।কত সুন্দর আমার কোলেই ঘুমুচ্ছে ।এসব ভাবতে ভাবতে বাসায় এসে দরজায় কড়া নরালাম।যথারিতী যা হবার কথা তার থেকে বিশাল আকারের রিয়েকশন শুরু হলো।
-এইবাচ্চা কার প্রীতি ? (আম্মু)
কি বলবো ভাবতে ভাবতে ই আমি ,,,,,
চলবে ?
#গল্প:অদ্ভূত প্রতিশোধ
Facebook
youtube Delight