গল্পঃআপুর বিয়ে(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
পর্বঃ০৭ (সমাপ্ত পর্ব)
আমি আর আমার কাজিন আপুর শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে আজকে আর বাইরের গেইট টাতে তালা ঝুলতে দেখিনি। আমরা ধাক্কা দিয়ে গেইট খুলে ভেতরে প্রবেশ করি। ভেতরে ঢুকে দেখলাম বারান্দায় যেই গেইটটা আছে ঐ গেইটেটা ভেতর থেকে লক করা। কিন্তু আমরা কোন মানুষ দেখতে পাই নি। কিন্তু এতোটুকু বুঝতে পারি রুমের ভেতরে মানুষ আছে। কারণ রুমে লাইট জ্বলছিলো এবং ভেতর থেকে টিভির আওয়াজ আসছিলো। তখন আমরা গেইটে নক করি কয়েকবার জোরে জোরে নক করি। কিন্তু কেউ এসে গেইট খুলছিলো না। অবন্তী আপু বলে কয়েকবার ডাক দিলে কান খাড়া করলে শুনতে পেলাম আপু বলছে প্লিজ দরজাটা খুলতে দাও আমার ভাই এসছে মনে হচ্ছে । কিন্তু ঐ পাষান লোকটি আপুকে আসতে দিচ্ছিলো না। আমরা গেইটের বাইরে থেকে আপুর স্বামীকে উদ্দেশ্য করে বলি "তোর খবর আছে,বাড়ি গিয়ে তোর বারোটা বাজাবো"। তাও সে বাইরে আসে নি। অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পর আমরা বাড়ি ফিরে এসে সবাইকে সবকিছু খুলে বলি।
তখন সিদ্ধান্ত হয় আপুর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এবং আপুকে ঐ বাড়ি থেকে চিরদিনের জন্য নিয়ে আসা হবে। ঐ দিন রাতেই আপুর ফোন আসে আপুর স্বামী তখন বাড়ি ছিলো না দেখে আপু আপুর শ্বাশুড়ির ফোন নিয়ে ফোন করে। মা বললো তোর বাবা এসে তোকে কাল ই নিয়ে আসবে। তখন আপু মাকে বাবাকে পাঠানোর জন্য নিষেধ করে। কারন আপু বলতেছিলো যেহেতু আসছি আর কিছুদিন থেকে দেখি তার কোন পরিবর্তন হয় কি না। পরিবর্তন না হলে আমি তোমাদেরকে বলবো তখন তোমরা এসে আমাকে নিয়ে যেও। আপু ঐদিন ফোনে অনেক কান্না করে এই জন্য যে আমি আপুর ভাই আপুর শ্বশুরবাড়ি গেলাম আর আপু আমার বোন হয়ে আমাকে দেখার আমাকে ভেতরে গিয়ে বসতে বলার সামর্থ্যটুকুও আপুর হয় নি.......
তার পর কেটে যায় ১৫ দিন এই ১৫ দিনে আপু একবার ফোন করে বলেছিলো আগের চেয়ে কিছুটা ভালো আছে। ১৫ দিন পর আপু ফোন করে বলে আপু আর থাকতে পারছে না এবং বাবাকে পাঠানোর জন্য।
পরদিন ভাইয়া বাবা আরো কয়েকজন এবং আমার একজন খালাতো ভাই সে ছিলো সাংবাদিক এই কয়জন মিলে আপুর শ্বশুরবাড়ি যায়। তাদের দেখে আমার গুণবান খুব দুলাভাই রেগে যায়। উল্টাপাল্টা বলা শুরু করলে আপুর শ্বশুর তাকে থাপ্পড় দিয়ে চুপ করায়। তখন সবার সামনে আপুকে এবং তার স্বামী এবং শ্বশুর শ্বাশুড়িকে ডাকা হয়। তখন আপুর স্বামীকে জিগ্যেস করা হয়ে আপুকে দ্বিতীয়বার আনার সময় তাকে যেই নিয়মগুলি দেয়া হয় ঐ নিয়মগুলি কি সে পালন করেছে কি না?
তখন সে সবাইকে অবাক করে দিয়ে তার বাবা মা এবং উপস্থিত সবার সামনেই আমার বাবার পায়ে ধরে মাফ চাওয়া শুরু করে। বাবা তাকে পা থেকে সরিয়ে দেয়। তখন আপুকে জিগ্যেস করা হয় সে কি আর এই বাড়িতে থাকবে কি না? আপু উত্তর দেয় না। তখন আবার আবির ভাই(আপুর স্বামী) আপুর পায়ে ধরে মাফ চাওয়া শুরু করে। আপু তাকে জোর করে পা থেকে সরিয়ে দাঁড় করায়।
ঐ দিন ই আপু ডিভোর্স পেপারে সিগনেচার করে আবির ভাইকে ডিভোর্স দিয়ে চলে আসে এবং সে যেনো আর কখনো আপুকে ডিস্টার্ব না করার জন্য বলা হয়। আমার সাংবাদিক ভাই তাকে বলে আসে যদি কখনো আপুকে ডিস্টার্ব করে তাহলে তার সকল অত্যাচার এর বর্ণনা তার ছবিসহ পত্রিকায় ছাপানো হবে।
তারপর আপুকে বাড়ি নিয়ে আসা হয় প্রথম প্রথম আপু বেশিরভাগ সময় কান্না করতো। আমার আপু অনেক চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলো। বেশিরভাগ সময় একা একা থাকতো। আর আপুর স্বপ্ন ছিলো বিসিএস ক্যাডার হবে। বিসিএস এর বই কিনে পড়াও শুরু করে দিয়েছিলো। কিন্তু আবির ভাই এর সাথে যখন আপুর বিয়ে হয় তখন আপু অনার্স শেষ করে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছিলো এবং বিসিএস এর প্রিপারেশন নেয়া শুরু করেছিলো। কিন্তু একজন ভুল মানুষের হাত ধরার পরিণতি স্বরুপ আপুর জীবনে এতো কিছু হয়ে যায়। বিয়ের পর আপুর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় এমনকি আপুর অনেক কাগজপত্রও আপুর স্বামী পুড়িয়ে দিয়েছিলো।
আপু এখন আবার মাস্টার্সে ভর্তি হবার চিন্তাভাবনা করছে পাশাপাশি ভাইয়ার পরিচিত একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জবে ঢুকেছে। এখন আলহামদুলিল্লাহ আপু ভালো আছে। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতেছে।
তারপর থেকে আবির ভাইও আপুকে তেমন একটা বিরক্ত করে নি। আপু এখন খুব ধার্মিক হয়েছে সবসময় মুখে আল্লাহর নাম থাকে নিয়মিত নামাজ পড়ে। এককথায় এখন থেকে আপুর নতুন জীবন শুরু হয়.....
তখন সিদ্ধান্ত হয় আপুর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এবং আপুকে ঐ বাড়ি থেকে চিরদিনের জন্য নিয়ে আসা হবে। ঐ দিন রাতেই আপুর ফোন আসে আপুর স্বামী তখন বাড়ি ছিলো না দেখে আপু আপুর শ্বাশুড়ির ফোন নিয়ে ফোন করে। মা বললো তোর বাবা এসে তোকে কাল ই নিয়ে আসবে। তখন আপু মাকে বাবাকে পাঠানোর জন্য নিষেধ করে। কারন আপু বলতেছিলো যেহেতু আসছি আর কিছুদিন থেকে দেখি তার কোন পরিবর্তন হয় কি না। পরিবর্তন না হলে আমি তোমাদেরকে বলবো তখন তোমরা এসে আমাকে নিয়ে যেও। আপু ঐদিন ফোনে অনেক কান্না করে এই জন্য যে আমি আপুর ভাই আপুর শ্বশুরবাড়ি গেলাম আর আপু আমার বোন হয়ে আমাকে দেখার আমাকে ভেতরে গিয়ে বসতে বলার সামর্থ্যটুকুও আপুর হয় নি.......
তার পর কেটে যায় ১৫ দিন এই ১৫ দিনে আপু একবার ফোন করে বলেছিলো আগের চেয়ে কিছুটা ভালো আছে। ১৫ দিন পর আপু ফোন করে বলে আপু আর থাকতে পারছে না এবং বাবাকে পাঠানোর জন্য।
পরদিন ভাইয়া বাবা আরো কয়েকজন এবং আমার একজন খালাতো ভাই সে ছিলো সাংবাদিক এই কয়জন মিলে আপুর শ্বশুরবাড়ি যায়। তাদের দেখে আমার গুণবান খুব দুলাভাই রেগে যায়। উল্টাপাল্টা বলা শুরু করলে আপুর শ্বশুর তাকে থাপ্পড় দিয়ে চুপ করায়। তখন সবার সামনে আপুকে এবং তার স্বামী এবং শ্বশুর শ্বাশুড়িকে ডাকা হয়। তখন আপুর স্বামীকে জিগ্যেস করা হয়ে আপুকে দ্বিতীয়বার আনার সময় তাকে যেই নিয়মগুলি দেয়া হয় ঐ নিয়মগুলি কি সে পালন করেছে কি না?
তখন সে সবাইকে অবাক করে দিয়ে তার বাবা মা এবং উপস্থিত সবার সামনেই আমার বাবার পায়ে ধরে মাফ চাওয়া শুরু করে। বাবা তাকে পা থেকে সরিয়ে দেয়। তখন আপুকে জিগ্যেস করা হয় সে কি আর এই বাড়িতে থাকবে কি না? আপু উত্তর দেয় না। তখন আবার আবির ভাই(আপুর স্বামী) আপুর পায়ে ধরে মাফ চাওয়া শুরু করে। আপু তাকে জোর করে পা থেকে সরিয়ে দাঁড় করায়।
ঐ দিন ই আপু ডিভোর্স পেপারে সিগনেচার করে আবির ভাইকে ডিভোর্স দিয়ে চলে আসে এবং সে যেনো আর কখনো আপুকে ডিস্টার্ব না করার জন্য বলা হয়। আমার সাংবাদিক ভাই তাকে বলে আসে যদি কখনো আপুকে ডিস্টার্ব করে তাহলে তার সকল অত্যাচার এর বর্ণনা তার ছবিসহ পত্রিকায় ছাপানো হবে।
তারপর আপুকে বাড়ি নিয়ে আসা হয় প্রথম প্রথম আপু বেশিরভাগ সময় কান্না করতো। আমার আপু অনেক চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলো। বেশিরভাগ সময় একা একা থাকতো। আর আপুর স্বপ্ন ছিলো বিসিএস ক্যাডার হবে। বিসিএস এর বই কিনে পড়াও শুরু করে দিয়েছিলো। কিন্তু আবির ভাই এর সাথে যখন আপুর বিয়ে হয় তখন আপু অনার্স শেষ করে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছিলো এবং বিসিএস এর প্রিপারেশন নেয়া শুরু করেছিলো। কিন্তু একজন ভুল মানুষের হাত ধরার পরিণতি স্বরুপ আপুর জীবনে এতো কিছু হয়ে যায়। বিয়ের পর আপুর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় এমনকি আপুর অনেক কাগজপত্রও আপুর স্বামী পুড়িয়ে দিয়েছিলো।
আপু এখন আবার মাস্টার্সে ভর্তি হবার চিন্তাভাবনা করছে পাশাপাশি ভাইয়ার পরিচিত একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জবে ঢুকেছে। এখন আলহামদুলিল্লাহ আপু ভালো আছে। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতেছে।
তারপর থেকে আবির ভাইও আপুকে তেমন একটা বিরক্ত করে নি। আপু এখন খুব ধার্মিক হয়েছে সবসময় মুখে আল্লাহর নাম থাকে নিয়মিত নামাজ পড়ে। এককথায় এখন থেকে আপুর নতুন জীবন শুরু হয়.....
(সমাপ্ত)